এ বছর ঢাকার ২৫৩টি ভেন্যুতে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মইনুল হাসান।
মঙ্গলবার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ডিএমপি প্রধান বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, প্রতিটি ভেন্যুতে তিন স্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
সেনাবাহিনী ও র্যাবও নিরাপত্তা দেবে এবং এলাকায় টহল দেবে বলে জানান তিনি।
“দুর্গা পূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য একটি গভীরভাবে শ্রদ্ধেয় ধর্মীয় উৎসব। উদযাপনটি ৯ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে, দশমীর মাধ্যমে শেষ হবে। দুর্গাপূজা একটি হিন্দু উৎসব হলেও এর আনন্দ বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ ভাগ করে নেয়।”
মইনুল আরও বলেন, “এ বছর ঢাকা মহানগরীতে ২৫৩টি পূজা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে ১৩১টি এবং শহরের উত্তরাঞ্চলে ১২২টি। দুর্গাপূজা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করা যায় তার জন্য আমরা বেশ কিছু সমন্বয় সভা করেছি। ঢাকা এবং সারা দেশে।”
তিনি আরও বিস্তারিতভাবে বলেন: “ঢাকার প্রতিটি পূজাস্থলের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, স্থানীয় পুলিশ দ্বারা পরিচালিত টহল ও চেকপয়েন্ট এবং দায়িত্বে থাকা সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা (ডিবি)।”
“উচ্চ ক্ষমতার সিসিটিভি ক্যামেরা এবং মেটাল ডিটেক্টর স্থাপন করা হবে এবং পূজা কমিটিগুলো তাদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ও আনসার সদস্যদের মোতায়েন করবে। সেনাবাহিনী ও র্যাবও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবদান রাখবে,” যোগ করেন তিনি।
পূজা উদযাপনের সময় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার উল্লেখ করেন: “সাধারণ যানবাহন চলাচল বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট এলাকায়, বিশেষ করে পুরান ঢাকায় সরু রাস্তার কারণে কিছুটা যানজট হতে পারে। আমরা আলোচনা করেছি। সেই সব স্থানের আশেপাশে মেলা যাতে বসানো না হয় সেজন্য পুজো কমিটির সঙ্গে।
এছাড়া ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ঢাকায় ১৫টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়।