সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরের মেঘাই ঘাটে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধ এলাকায় দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত নানা রোগ।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার শনিবার সকালে বলেন, গত ১২ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর নগর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানি ১২ সেন্টিমিটার কমেছে এবং এখন বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপরে।
পানি কমলেও পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ পানিতে আটকা পড়ে আছে। চলমান বন্যায় সিরাজগঞ্জ সদর, শাহজাদপুর ও চৌহালীতে এ পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জুলাই সিরাজগঞ্জে পানি কমতে শুরু করলে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া বন্যাকবলিত লোকজন বাড়ি ফিরতে শুরু করে।
তবে গত ১০ জুলাই যমুনা নদীতে আবারও পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে আরও বিপাকে পড়ে। দুই দিন পর আবারও কমতে শুরু করেছে অভ্যন্তরীণ হুরা সাগর, কাটাখালী, ফুলঝাড় ও ইছামতি নদীর পানি।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও উজানে ভারি বর্ষণে তা আবার বাড়তে পারে। ভাঙন রোধে ভাঙনপ্রবণ এলাকায় বালির বস্তা রাখা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।
মাহবুবুর আরও উল্লেখ করেন, যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদীর তীরবর্তী ও চর এলাকার প্রায় এক লাখ মানুষ জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। প্রায় ১০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সিরাজগঞ্জের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ১৩৩ টন চাল, ৫ লাখ টাকা ও শুকনো খাবারের ৩০০ প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। নৌকাডুবির ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বন্যায় চারজন ডুবে গেছে।