ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদিখান ও শ্রীনগর এলাকায় দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত চারজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন।
ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে সিরাজদিখানের নিমতলীতে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে। আব্দুল্লাহ পরিবহনের একটি মিনিবাস মাওয়াগামী একটি কাভার্ড ভ্যানকে পেছনে ফেলে বাসের সহকারী জীবন শেখ ও যাত্রী রায়হান নিহত হয়।
দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন।
হাসারা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, সংঘর্ষে বাসটির সামনের অংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। আহতদের শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সহকারী ও এক যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুরুতর আহত অপর যাত্রী অমিতকে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাকি চারজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার ভোরে, এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর এলাকায় আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে, এতে অজ্ঞাতপরিচয় দুই ব্যক্তি নিহত হয়। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে একটি অজ্ঞাত যানবাহন পুরান পরিবহনের একটি বাসকে ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে।
ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, শ্রীনগরের হাসরা এলাকায় ঢাকাগামী সড়কের সার্ভিস লেনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সময় দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়। বর্তমানে তাদের লাশ সেখানে রয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদিখান ও শ্রীনগর এলাকায় সংঘটিত দুইটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জের একটি স্পষ্ট উদাহরণ। এই দুর্ঘটনাগুলোতে অন্তত চারজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাগুলো জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে উন্নত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তাকে সামনে এনেছে।
প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে সিরাজদিখানের নিমতলী এলাকায়। আব্দুল্লাহ পরিবহনের একটি মিনিবাস মাওয়াগামী একটি কাভার্ড ভ্যানকে ধাক্কা দিলে বাসটির সামনের অংশ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। এতে বাসের সহকারী জীবন শেখ এবং এক যাত্রী রায়হান ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। গুরুতর আহত ১০ জন যাত্রীকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা সহকারী জীবন শেখ ও রায়হানকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত যাত্রী অমিতকে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। অন্যান্য আহত যাত্রীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার ভোরে শ্রীনগরের হাসরা এলাকায়। এক অজ্ঞাত যানবাহন পুরান পরিবহনের একটি বাসকে ধাক্কা দিলে দুই ব্যক্তি প্রাণ হারান। এই দুর্ঘটনাটি এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে ঘটে, যেখানে যান চলাচল সাধারণত কম থাকে। দুর্ঘটনার পর আহত যাত্রীদের দ্রুত শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করার সময় দুই জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি, এবং তাদের মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
হাসারা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা এতটাই কম ছিল যে যানবাহনগুলো নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়। এতে এ ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তিনি আরও জানান, এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দ্রুতগতির গাড়ি চালকদের আরও সতর্ক হওয়া এবং আবহাওয়া উপযোগী চালনার প্রয়োজন।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে উন্নত প্রযুক্তি ও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা আরও জোরালো হয়েছে। বিশেষত কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় যানবাহন চলাচলের জন্য আধুনিক কুয়াশা-প্রতিরোধী লাইট, ট্রাফিক সিগন্যাল, এবং মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। সড়ক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়া উচিত।
দুর্ঘটনাগুলোর এই দুঃখজনক ঘটনা শুধু নিহতদের পরিবার নয়, গোটা জাতিকেই শোকাহত করেছে। এ ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে এড়ানোর জন্য প্রশাসন এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য। দেশের সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় যান চলাচল ব্যবস্থার কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করাই এখন সময়ের দাবি।