আইটি পার্কগুলিকে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার সময়

Date:

২০১৫ সালে, পূর্ববর্তী সরকার তার “ডিজিটাল বাংলাদেশ” রূপকল্প বাস্তবায়নের উপায় হিসাবে “আইটি পার্ক” (পরে “হাই টেক পার্ক” হিসাবে পুনঃব্র্যান্ডেড) নির্মাণের একটি কৌশল গ্রহণ করেছিল। দুর্ভাগ্যবশত, এটি একটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর সিদ্ধান্ত ছিল, মূলত ভুল ধারণার ভিত্তিতে যে বাংলাদেশের আইটি শিল্প বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেটের ঘাটতির কারণে ভারতের মতো দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।

ঢাকা শহরে সর্বদা চলমান বিপুল পরিমাণ নির্মাণের পরিপ্রেক্ষিতে এই ধারণাটি স্পষ্টতই ভুল ছিল, কিন্তু সেই সময় ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা এটিকে সমালোচনামূলকভাবে গ্রহণ করেছিলেন। কেউ অনুমান করতে পারে যে আসল উদ্দেশ্য ছিল সেই সমস্ত আইটি পার্কগুলির জন্য ভালভাবে সংযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য লাভজনক নির্মাণ চুক্তি প্রদান করা। এখন, প্রায় এক দশক পরে, অন্তর্বর্তী সরকার দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডজন বা তার বেশি অব্যবহৃত “হাই টেক পার্ক”-এর জন্য কিছু ব্যবহার খুঁজে বের করার চেষ্টা করার কাজটির মুখোমুখি হচ্ছে।

যখন বিভিন্ন জেলায় আইটি পার্ক নির্মাণের নীতিমালা প্রথম প্রস্তাব করা হয়েছিল, তখন আমি ঢাকা ট্রিবিউনের জন্য একটি নিবন্ধ লিখেছিলাম যার শিরোনাম ছিল “উন্নত শিক্ষা, আইটি পার্ক নয়” – তখনও উত্থাপিত আপত্তি রয়ে গেছে; বাংলাদেশে আইটি শিল্পের প্রসারের প্রধান সীমা হল প্রশিক্ষিত আইটি পেশাদারদের অভাব, অফিসের জায়গা নয়।

সুতরাং, আইটি শিল্পের বৃদ্ধি সহজতর করার সর্বোত্তম উপায় হল প্রযুক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, যা প্রতি বছর কম্পিউটার বিজ্ঞান স্নাতকদের চাকরির বাজারে প্রবেশের সংখ্যা বাড়াবে। এর ফলে স্থানীয় আইটি শিল্প দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। সুস্পষ্ট সমাধান, তারপর, অব্যবহৃত আইটি পার্কগুলিকে প্রযুক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পুনরায় উদ্দেশ্য করা।

সৌভাগ্যবশত, অব্যবহৃত আইটি পার্কগুলিকে কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পুনঃউদ্দেশ্য দেওয়া এতটা কঠিন হওয়া উচিত নয় বা সেই বিষয়ে খুব বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়।

সাধারণত, সরকার কর্তৃক একটি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে অনেক বছর সময় লাগে কেবল জমি অধিগ্রহণ এবং ভবন নির্মাণে বিলম্বের কারণে — আইটি পার্কের ক্ষেত্রে, এই প্রধান বাধাগুলি ইতিমধ্যেই অতিক্রম করা হয়েছে। একমাত্র জিনিসটির অভাব রয়েছে তা হল আইটি পার্ক চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সরকারের সিদ্ধান্ত।

শ্রেণীকক্ষ, একাডেমিক অফিস, ছাত্রদের বাসস্থান এবং অধ্যাপকদের বাসস্থান অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অবশ্যই বিদ্যমান ভবনগুলিতে কিছু পরিবর্তন করতে হবে; কিন্তু আশা করি এটি দ্রুত করা যাবে। সিভিল কাজ শেষ হয়ে গেলে, অধ্যাপকদের নিয়োগ এবং ক্লাস শুরু করা যেতে পারে।

এই বাধাগুলির কোনটিই অপ্রতিরোধ্য নয়। আশা করা যায়, এই অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মধ্যে, সরকারী আইটি পার্কের বর্তমানে নষ্ট সুবিধার মধ্যে বেশ কয়েকটি নতুন কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা যেতে পারে। এটি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে প্রতি বছর আইটি স্নাতকের সংখ্যায় একটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করবে।

যেহেতু তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প উচ্চ প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের উপর নির্ভর করে, তাই দীর্ঘমেয়াদে এটিই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ যা অন্তর্বর্তী সরকার এর অব্যাহত বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে নিতে পারে।

Daily Opinion Stars
Daily Opinion Starshttps://dailyopinionstars.com
Welcome to Daily Opinion Stars, your go-to destination for insightful opinions, in-depth analysis, and thought-provoking commentary on the latest trends, news, and issues that matter. We are dedicated to delivering high-quality content that informs, inspires, and engages our diverse readership.

Share post:

Subscribe

spot_imgspot_img

Popular

More like this
Related

When a Hoax Shakes a City: Mumbai’s “34 Human Bombs” Scare

Mumbai went on high alert after a WhatsApp bomb threat warned of 34 human bombs and 400 kg of RDX during Ganesh Visarjan. The threat, later exposed as a hoax rooted in personal revenge, highlights how digital misinformation can trigger panic, mobilize massive security, and test public resilience.

ফখরুলের সঙ্গে পাকিস্তান হাই কমিশনারের সাক্ষাৎ: কূটনৈতিক বার্তার আভাস

মির্জা ফখরুল ও পাকিস্তানের হাই কমিশনার ইমরান হায়দারের সাক্ষাৎ বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক এবং দেশীয় রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

China’s Military Parade with Putin and Kim: A Strategic Signal to the World

China’s recent military parade in Beijing, attended by Putin and Kim, showcased advanced nuclear weapons and strategic alliances, sending a strong geopolitical message to the world.

মেঘনা আলমের কোরআনের শপথ ও কুমারী দাবি: আলোচনার কেন্দ্রে নতুন বিতর্ক

বাংলাদেশের আলোচিত মডেল মেঘনা আলম কোরআনের শপথ নিয়ে নিজেকে কুমারী দাবি করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। সামাজিক প্রতিক্রিয়া, আইনি দিক ও মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিশ্লেষণ।