ঘটনার বিধ্বংসী মোড়ের মধ্যে, বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ফিরোজ, তার স্ত্রী শারমিন, ছয় মাসের শিশু জাহিদ, অটোরিকশা চালক মনিরুল মান্নান ও অজ্ঞাত এক যাত্রী রয়েছেন। পেকুয়া থেকে চট্টগ্রামগামী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা হাজী বাজার এলাকায় একটি ডাম্পার ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় একটি বিভীষিকাময় দৃশ্য বর্ণনা করা হয়েছে যেখানে সংঘর্ষে অটোরিকশাটি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার নিছক শক্তি যাত্রীদের বেঁচে থাকার কোন সুযোগই ছেড়ে দেয়নি। তিনজনের তরুণ পরিবারের মৃত্যু বিশেষ করে স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে দুঃখ ও শোকের ঢেউ পাঠিয়েছে। দুর্ঘটনাটি বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কথা তুলে ধরে, বিশেষ করে মহাসড়কে যেখানে বেপরোয়া ড্রাইভিং এবং ওভারলোডেড যানবাহন সাধারণ।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সিরাজুল মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে সংঘর্ষে জড়িত ডাম্পার ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অবহেলা বা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের সম্ভাবনা সহ দুর্ঘটনার আশেপাশের পরিস্থিতি তদন্ত করছে। যাইহোক, অবিলম্বে পঞ্চম শিকার শনাক্তকরণ এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে সহায়তা প্রদানের দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়।
এই ট্র্যাজেডি আবারও ভবিষ্যতে এই ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা রোধে ট্রাফিক আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং উন্নত সড়ক অবকাঠামোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। এই পরিহারযোগ্য দুর্ঘটনার দ্বারা ভেঙে পড়া পরিবারগুলি ন্যায়বিচার এবং পদ্ধতিগত পরিবর্তনের যোগ্য যাতে অন্য কেউ এমন ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। ফিরোজ, শারমিন এবং ছোট্ট জাহিদের গল্প জীবনের ভঙ্গুরতা এবং বাংলাদেশের সড়ক নিরাপত্তার জন্য জরুরি প্রয়োজনের একটি ভয়াবহ অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে।