ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের সময় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)।
এছাড়াও, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি মোঃ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
এর আগে শেখ হাসিনাসহ ৪৫ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এক মাস সময় দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার প্রতিবেদনগুলি জমা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু প্রধান প্রসিকিউটর অফিস তা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মঙ্গলবার শুনানির সময় প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট পরিমাণ প্রমাণ ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যা যাচাইয়ের জন্য অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন।
তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রত্যেককে দুই মাস সময় চেয়েছিলেন- একটি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং অন্যটি ওবায়দুল কাদের এবং 45 জনের বিরুদ্ধে।
ট্রাইব্যুনাল উভয় আবেদনই গ্রহণ করে এবং প্রতিবেদন দাখিলের নতুন সময়সীমা 18 ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করে।
আগের দিন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগের শাসনামলের সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আইসিটির সামনে হাজির করা হয়।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের কাছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার কথা ছিল।
ট্রাইব্যুনালে যাদের আনা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, সাবেক মন্ত্রী ও শ্রমিক দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন। , জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সম্পদ তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। এই ১৬ জন মামলার মোট ৪৫ আসামির অংশ।